শায়েখ আলী আল-খাফীফ নিকট অতীতের ফকীহদের মাঝে অন্যতম ফকীহ ছিলেন। ফিকহুল মুআমালাত ও ইসলামী অর্থনীতিতে তার অনন্য অবদান রয়েছে। তিনি ১৮৯১ সালে মিসরে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পারিবারিক রীতি অনুযায়ী খুব অল্প বয়সেই হিফজুল কুরআন সম্পন্ন করেন।
এরপর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ১৯০৪ সালে আল আযহারে ভর্তি হন এবং ১৯০৭ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য মাদরাসাতুল কাযা আশ-শারয়ীতে অধ্যয়ন শুরু করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানে ৮ বছর অধ্যয়ন সম্পন্ন করে ১৯১৫ সালে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষা সমাপ্তির পর উক্ত প্রতিষ্ঠানেই তিনি প্রভাষক হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এভাবে তার বৈচিত্রময় কর্মজীবনের সূচনা হয়। এরপর তিনি মিসরের জামেয়া কাহেরাসহ আরো অনেক সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯২১ সালে তিনি রাষ্ট্রীয় শরীয়া আদালতের বিচারক হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। প্রায় আট বছর উক্ত দায়িত্ব পালনের পর ১৯২৯ সালে মিশরের ওয়াকফ মন্ত্রণালয় তাঁকে শরিয়াহ আইনজীবী হিসাবে মনোনীত করে। তিনি মাজমাউল বুহুসিল ইসলামিয়া আযহার এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। ১৯৬৭ সালে তিনি আল-আজহারের সর্বোচ্চ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি অত্যন্ত উঁচু মাপের ফকীহ এবং গবেষক ছিলেন। তার গবেষণার মূল বিষয়বস্তু ছিল ফিকহে ইসলামীকে যুগের পরিভাষায় উপস্থাপন করা। বিষেশত ফিকহুল মুআমালাত। এতে তিনি অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
তার মূল্যবান রচনাবলির মাঝে অন্যতম হলো-
◾️ আহকামুল মুআমালাতিশ শারইয়্যাহ
◾️ আশ-শারিকাত ফিল ফিকহিল ইসলামী
◾️ আয-যমান ফিল ফিকহিল ইসলামী
◾️ আত-তামীন ওয়া হুকমুহু আলা হাদয়িশ শরীয়াহ
◾️ আহকামুল ওয়াসিয়্যাহ
◾️ আল-হাক্কু ওয়ায যিম্মাহ
তিনি ১৯৭৮ সালে মিশরের কায়রোতে ইন্তিকাল করেন। তার অমূল্য গবেষণাকর্ম মুসলিম উম্মাহের পথের দিশা হয়ে বাকি থাকুক।
লিখেছেন : মুহাম্মদ সানাউল্লাহ (CSAA)
তারিখ : ২৩/১০/২৪ ইং
তারিখ : ২৩/১০/২৪ ইং